ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ফুলের দেখা মিললেও ফুলগুলোর কদরে কোথাও কোনো ভিন্নতা নেই। এসব ফুলের প্রশংসা করতেও পিছিয়ে নেই পৃথিবীর কোনো প্রান্তের মানুষ। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু ফুল আছে, যেগুলো অন্য সব ফুলের চেয়ে অনেকটা আলাদা। এসব ফুলের ভিন্নতা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তাই আজব দুনিয়া সিরিজের এই পর্ব সাজিয়েছি অদ্ভুত সব ফুল নিয়ে!
এরিস্টুলা/প্যলিক্যান বা হাঁস ফুল
এটি দেখতে হাঁসের মত! এই ফুলটি গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে কোণ সমতল জায়গা বা হাতের উপর রাখলে মনে হবে হাঁস বসে আছে!
তোতাপাখি ফুল
এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম “Impatiens Psittacina Hook.f”। এটি দেখতে একদম তোতা পাখির মত। আর এর আকার আকৃতির সাথে মিল রেখে এই ফুলের নাম দেওয়া হয়েছে “তোতাপাখি ফুল”;
এই ফুল গুলিকে খুঁজে পাওয়া যায় থাইল্যান্ড এবং ইন্ডিয়ার উত্তরের বনাঞ্চলে। এছাড়াও বার্মায় বিপুল সংখ্যায় এই ফুলের খোঁজ মেলে।
এই ফুল প্রথম আবিস্কার হয় বার্মার শান নামক অঞ্চলে আর আবিস্কার করেন “এ, এইচ, হিল্ডাব্রান্ড”;আবিস্কারের পরেই কিন্তু এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয় নাই। ১৮৯৯ সালে
প্রথমে এই ফুলের বীজ সংগ্রহ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় “রয়্যাল গার্ডেন” এ, তারপর এই রয়্যাল গার্ডেনেই ১৯০০ সালে প্রথম ফুল ফোটে। এরপর ১৯০১ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী “জোসেফ ড্যালটন হুকার” সর্বপ্রথম এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবিহত করেন।
প্রথমে এই ফুলের বীজ সংগ্রহ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় “রয়্যাল গার্ডেন” এ, তারপর এই রয়্যাল গার্ডেনেই ১৯০০ সালে প্রথম ফুল ফোটে। এরপর ১৯০১ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী “জোসেফ ড্যালটন হুকার” সর্বপ্রথম এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবিহত করেন।
এই তোতাপাখি ফুলের গাছ উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের মত হয়। আর এর পাতা লম্বায় ৬ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। আর ফুল প্রায় ৫ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। এই ফুল সাধারনত অক্টোবার থেকে নভেম্বরের মধ্যে ফোটে। এই তোতাপাখি ফুলের গাছ সব জায়গায় জন্মাতে পারে না, কেননা এরা পরিবেশ দ্বারা অনেক বেশী প্রভাবিত হয়। সাধারনত সমূদ্র সৈকত অঞ্চলে যেখানে বাতাসের আদ্রতা অনেক বেশী সেই সকল জায়গায় বেশী জন্মায়। আর এই ফুলের রঙ হাল্কা বেগুনী এবং গাঢ় লাল রঙের হয়। আর এই দু’টি রঙকে মাঝখানের সাদা রঙ আলাদা করে রেখেছে।
The Rainbow Roses
রঙধনুর সাতটি রঙই বিদ্যমান এই গোলাপটিতে যার । ২০০৫ সালে Dutch flower company-র মালিক Peter Van De
Werken নতুন এই গোলাপটি উদ্ভাবন করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি কৃত্রিম রং দিয়ে এই গোলাপ উদ্ভাবন করলেও ধীরে ধীরে তিনি গাছেই ফুটাতে সক্ষম হন এই গোলাপ। প্রাথমিক অবস্থায় গোলাপের কলি ফোঁটার সময় তিনি আলাদা করে প্রতিটি পাপড়িতে রঙ দেয়া শুরু করেন। আস্তে আস্তে পাপড়ি গুলো মেলে যাওয়ার পর তা অপূর্ব রঙধনুর রঙে ফুটে উঠে।
Amorphophallus titanium
ধারনা করা হয় এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল। এরা titan arum নামেও পরিচিত। ইন্দোনেশিয়ায় এই ফুলটি bunga bangkai নামেই বেশি পরিচিত। এদের বেশির ভাগ পাওয়া যায় সুমাত্রা দ্বীপের রেইন ফরেস্ট এবং চুনাপাথরের পাহাড়গুলিতে। এদের আকৃতি হয় সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত। এর একেকটি ফুলের ভর হয় ৫০ থেকে ৬০ কেজি! এর একটি পাপড়ি মরে গেলেও সেখানে আরেকটি নতুন পাপড়ি জন্ম নেয়। সবচেয়ে বড় কথা এই ফুল পচা মাংসের গন্ধ ছড়ায়!! ( নাকে মাস্ক পইরা আসে পাশে যাইতে হয়!)
No comments:
Post a Comment